ক্ষমতাশীল, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সরকারের বিভিন্ন সন্তানের চাকুরে আর নানান পেশার ব্যক্তিবর্গের লোভ লালসা,ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুনীতির তথ্য এবং সংকেত পেলে আমরা যারা সার্বিক দিক দিয়ে ক্ষমতার বাহিরে আছি অর্থাৎ যারা ক্ষমতা বঞ্চিত তারা গর্জে উঠি তাদের বিরুদ্ধে। ঘৃণায় থুথু ফেলি, আবার অনেকে নীতি কথার বুলি ছাড়ি। কিছু ভুলের জন্য তাদের প্রতিভাগুলোকে হেলায় ধূলিসাৎ করে উপড়ে ফেলে দেই চিরতরে। মজার বিষয় হলো আমরা যারা দুনীতি করিনা তাদের অধিকাংশেরই ক্ষমতা আর সুযোগ নেই বিধায় তা করিনা। সুযোগ পেলে আমরাও কম পারিনা। অন্যের সুযোগ সন্ধানে আমরা অনুসন্ধান করি আর নিজের দেশ প্রেমের কথা উচ্চ স্বরে প্রকাশ করি। ফলে আমাদের ভেতর লোকানো লোভ লালসা লোকিতই থেকে যায়। কিন্তু জরিপে দেখা যায় সুযোগ পেলে আমরাও তা করতে হাত ছাড়া করিনা। লুফে নেই যখন হাতের নাগালে যা পাই। আমাদের অবস্থা শিয়ালের আঙুর ফল খাওয়ার গল্পের মতই, আঙুর ফল টক, যার মূলভাব ছিল পাই না তাই খাই না। তেমনি একটি দৃষ্টান্ত গত ২৩ নভেম্বর ২০১০ তারিখে আমার দৃষ্টিতে পড়ল। রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ আর একমাত্র চালিকা শক্তি টাকা। শুধু তাই নয় এটা মানুষেরও বেঁচে থাকার অবলম্বন। যাকে বলা হয়ে থাকে সেকেন্ড গড। সেই এক টাকার গোল্ডেন কয়েন সোনার খাতে ব্যবহার বা পাচার করতে আমাদের কাছে রৰিত সোনালী সম্পদগুলো চড়া দামে বিক্রি করতে একটুও দ্বিধা বোধ আর সংকোচ করি না। তখন আমাদের মধ্যে দেখা দেয় না দেশ প্রেম আর নীতি কথা। আমরা পারিও। কোন শ্রেণীকে হেয় বা অপমান করার জন্য আমার এ বাক্যগুলো লেখার উদ্দেশ্য নয় বরং চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চাইলাম যার যতটুকু ৰমতা সে ততটুকু দুনীতে অভ্যস্ত হয়ে যাই। অর্থাৎ ৰমতা পেলে নিজের লোভ লালসাকে সামাল দিয়ে রাখতে হিমশিম খাই। আর এ লোভ লালসার ঊর্ধ্বে থেকে যারা সার্বিক কর্ম সম্পাদন করে শুধু তাদেরকেই বলা যায় দেশ প্রেমিক। আর দেশ প্রেমিক হওয়াটা অনেক ধৈর্য আর ত্যাগের ফল। যুগযুগ ধরে যারা দেশ প্রেমের নিদর্শন দেখিয়েছেন তারা দেশের সম্পদ ধ্বংশতো বহুদূর বরং নিজের সর্বস্ব উজাড় আর বিলীন করে দিয়েছেন দেশে কল্যাণে। কোন লোভ লালসাই তাদেরকে বিন্দু মাত্র দেশের কল্যাণ থেকে দূরে সরাতে পারেনি। আমরাও কি তাই পারিনা ? পারিনা সকলে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে সমস্ত দুনীতির বিরোদ্ধে রুখে দাড়াতে ? পারি, ইচ্ছে করলেই পারি। কেন পারবনা ? আমরাইতো সমগ্র বিশ্বে একমাত্র ; যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাতৃভাষার জন্য লড়াই করে বাংলাকে একমাত্র দেশের রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে জয় লাভ করেছি। আমরা লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছি এদেশের স্বাধীনতা। আমরা দুনীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবার মোটামোটি শান্তিপূর্ন অবস্থানে ফিরে এসেছি। আমরা ইচ্ছে করলে সব পারি। আসুন আমাদের ইচ্ছে গুলোকে পরিবর্তন করে সৎ ইচ্ছায় রূপান্তর করি। দেশের সম্পদ রৰায় সকলেই সচেষ্ট থাকি আর নিজেকে দেশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। আমাদের দেশ আমাদের মা। মাকে আর কতকাল এভাবে অবহেলা করে, অনাদর আর ধ্বংসের খেলায় মেতে থাকবো ? মা কি পেরেছে আমাদের তাড়িয়ে দিতে ? তবে আর কতদিন ? চলুন সকলেই হিংসাত্মক মনোভাব পরিহার করি, দুনীতিকে ঝাঁটা পিটাই, লোভ লালসাকে পিছু হটাই। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ আর আত্মকেন্দ্রিক না হই এবং আক্রোশ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি ত্যাগ করি। কাজে এবং কথায় প্রমাণ করি 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি'।'আমরা দেশের ও দেশের মানুষের কল্যাণে সর্বদা নিয়োজিত থাকিব' বাস্তবায়ন করি। হে আল্লাহ আমাদের শক্তি দিন আমরা যেন বাংলাদেশকে ভালবেসে সমস্ত অপকর্ম থেকে মুক্ত থাকতে পারি। আমিন।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাহাতাব রশীদ (অতুল)
আজ ২৭ এপ্রিল।ভোট দেওয়ার দিন শেষ।কিন্তু কিভাবে জানি খুজে খুজে এই লেখাটা পড়লাম।সত্যি অনেকে গল্ডেন কইয়েন পাচার করে।একদিন স্কুলে আমি এক টাকার কয়েন {গল্ডেন কয়েন।তখন আমি জানতাম না}নিয়ে গেছি।কয়েকজন বন্ধু বলে উঠল যে খরচ না করে চক বাজারে এক দকানে বিক্রি করতে তাহলে নাকি ২৬৫ টাকা পাওয়া যাবে।কিন্তু আমি জেনেও তা করলাম না{এটা আমার সত্য ঘটনা}।তাহলে কি আমি সুনাগরিক হয়ে গেলাম?না ।কারণ দেশের জন্য আমি একটি ভাল কাজ করেছি কিন্তু শুধু একটা ভাল কাজ দিয়েই সুনাগরিক বা দেশ প্রেমিক হওয়া যায় না।তবে আপনি ঝুব ভাল লিখেছেন।৫ এ ৫ ।দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।কিন্তু তা তোয়ার হবার নয়।!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আশিক আরমান
Thik bolsen. Bashirvag khatrei ja jototuk sujug pascha tototuk durniti kortase. Amonki akjon rickshow puller o jokhon sujug pai bashi vara nai. ONAK KHATREI AMRA JARA VALO ASI TARA SUJUGER OVAVE VALO ASI.
বিন আরফান.
অনেক অনেক শুভ কামনা, মনে রাখবে. একজন লেখক হিসাবে আপনি স্বার্হক এত সুন্দর লেখা লিখেছেন . আর একজন পাঠক হিসাবে আমি ধন্য যে আপনার এতো ভলো একটা লেখা পড়তে পেরেছি চালিয়ে অন একদিন বড় হবেন. ইনশা-আল্লাহ. অপূর্ব মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন . খুব ভালো হয়েছে. আমার লেখা বঙ্গলিপি পড়ার আমন্ত্রণ রইল
বিন আরফান.
অনেক অনেক শুভ কামনা, মনে রাখবে. একজন লেখক হিসাবে আপনি স্বার্হক এত সুন্দর কবিতা লিখেছে. আর একজন পাঠক হিসাবে আমি ধন্য যে আপনার এতো ভলো একটা কবিতা পড়তে পেরেছি চালিয়ে অন একদিন বড় হবেন. ইনশা-আল্লাহ. অপূর্ব মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখেছেন . খুব ভালো হয়েছে. আমার লেখা বঙ্গলিপি পড়ার আমন্ত্রণ রইল
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।